আজ শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শহর দখলে মরিয়া নামধারী ছাত্রলীগ

  • ছাত্রলীগ সেজে অপকর্ম করে, শিক্ষার্থীরা খারাপ কাজ করে না : রনি
  • ছাত্রলীগের নাম বিক্রি করে অপকর্ম করলে পুলিশে ধরিয়ে দিন : রিয়াদ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নামধারী ছাত্রলীগ নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সেক্টর দখলে নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে একদল চাষাঢ়া শহীদ মিনারে পশ্চিম পাশে ফুটপাতে দোকান বসিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টেন্ডারেও অনেককে দেখা যায়। কয়েক দিন পর পর চাষাঢ়া শহীদ মিনার থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করার ঘটনাও ঘটেছে। সরকারি তোলারাম কলেজে ছাত্রলীগের নাম বিক্রি করে স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা ‘প্রেস নারায়ণগঞ্জ’ এর এক সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।

তবে কোন ঘটনা ঘটার পর ছাত্রলীগের যারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তাদের অনেককেই চেনেন না ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকা নেতারা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি দৈনিক সংবাদর্চচাকে বলেন, আমাদের ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা কোন খারাপ কাজ চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী মাস্তানী করে না। যারা ছাত্র সংগঠন করে তারা মাদকসহ কোন ধরনের খারাপ কাজ করতে পারে না। কিন্তু যারা ছাত্র না ছাত্রলীগ সেজে অপকর্ম করে ও পদ নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠে তারা মানুষের কাছে সংগঠনের নাম ডুবিয়ে দিচ্ছে।

ছাত্রলীগের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখার আছে কারন তারা ক্ষমতাসীন দলের। তারা যদি ভাল কিছু করেন তাহলে আমরা ছাত্রদল অবশ্যই সাধুবাদ জানাবো। তবে যদি খারাপ কিছু করে তাহলে তার বিরোধীতা ছাত্রদল করবেই। আর ডিম ব্যবসায়ীকে পেটানোর ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।
সবচেয়ে উল্লেখ্য যোগ্য শহরের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে নিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। এমনকি শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে ।কলেজ রোড চাষাড়া নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন ৫নং খেয়া ঘাট এলাকাসহ অনেক স্থানে জানা গেছে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে।

গত ২৪ জুন রাতে শহরের ২ নং রেলগেইট এলাকায় ডিম দিতে দেড়ি হওয়ায় ডিম বিক্রেতাকে ছাত্রলীগ নামধারীরা তিন দফায় মারধর করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ডিম বিক্রেতার স্ত্রীর নারর্গিস হক। জানা যায় আসামী জিতু ১৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন। এছাড়া ফরহাদ নামে অজ্ঞাত নামা আসামী ১৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন।

মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ জানায়, ছাত্রলীগের নাম বিক্রি করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাদের কে পুলিশে ধরিয়ে দিন। ছাত্রলীগের কোন পদধারী নেতাকর্মীরা কোন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত থাকলে এমন প্রমান পাওয়া গেলে আমরা তাদের সংগঠন থেকে বহিস্কার সহ পুলিশে ধরিয়ে দেব।

এছাড়া শহরের কোথাও ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে মারামারিসহ কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালে তাদের আটক করুন।

উলেখ্য, দীর্ঘ সাত বছর পর গত ২৯ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে মহানগর কমিটি করা হয়। নতুন কমিটিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয় আজিজুর রহমান আজিজকে এবং মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয় হাবিবুর রহমান রিয়াদকে।

এছাড়া শিল্প অঞ্চল খ্যাত নারায়ণগঞ্জ শহরে দেশের বিভিন্ন জেলার লোক বসবাস করে। সেখানে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে একটি মহল অপকর্ম করছে। সরকার কে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিরোধী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে বর্তমানে যত ছাত্রলীগ নেতাকমী দেখা যায় আসলেও তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগ কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে মনে করছে নগরবাসী।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ